
হিরো হোন্ডা, ভারতের বাজারে দাপট চালিয়েছে এই কোম্পানি। 1985 সালে জাপানি সংস্থা Honda, ভারতের হিরো মোটকর্পের সাথে যুক্ত হয়ে Hero Honda নামে জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রজেক্টের অধীনে বাইক লঞ্চ করে। জয়েন্ট ভেঞ্চারের প্রথম বাইক ছিল CD 110। বেশ ভালই বাজার করে তারা, কিন্তু 2011 সালে এসে সেই গাঁটছড়া ভেঙ্গে যায়। Hero এবং Honda, আলাদা আলাদাভাবে ব্যবসা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ঠিক কেন তারা আলাদা হয়েছিল? ইতিহাসের পাতা খুঁড়ে সেই গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি আমরা।
সালটা ছিল 1983, Honda সেসময় বিশ্বের বহু দেশেই বাইক বিক্রী শুরু করেছে। আর ভারতে নিজেদের বাজার বাড়ানোর জন্য আগ্রহী হিরো। এরপর দুই সংস্থা একত্রিত হয়ে 1985 সালে হিরো হোন্ডা ভেঞ্চার গঠন করে। আর মাত্র 16 বছরেই অর্থাৎ 2001 সালে বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির তালিকায় চলে আসে তারা। দুই দেশের উন্নত প্রযুক্তির সুফল ভোগ করেন গ্রাহকরা।

কিন্তু হিরো হোন্ডার সেই বিজয়রথ থেমে যায় 26 বছর পর। 2010 সাল থেকে শুরু হয় তিক্ততা এবং ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে দূরত্ব। অতঃপর 2011 সালে বিচ্ছেদ ঘটে এই দ্বৈরথের। আলাদা হয়ে যাওয়ার পর দুই সংস্থা নিজেদের আলাদা আলাদা ব্যবসা শুরু করে। হোন্ডা ভারতের বুকে আলাদা করে ব্যবসা শুরু করে, হিরো নিয়ে আসে লেটেস্ট বাইকের সম্ভার।
মোটরবাইকের বাজারে বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষো চলতে থাকে যে, বিবাদের আসল কারণ ছিল বাইকের রপ্তানির মুনাফা নিয়ে। হিরোর উচ্চ আধিকারিকরা হন্ডার পরিকল্পনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে পারছিলেন না। কারখানার এবং বাইকের সংখ্যা বাড়াতে চেয়েছিল হিরো। কিন্তু হোন্ডা মোটরস তা খারিজ করে দেওয়ায় বিবাদ বাড়তে থাকে।

পরবর্তীতে দুই সংস্থা নিজেদের আলাদা আলাদা ব্যবসা শুরু করে। যদিও বিচ্ছেদের আঁচ বেশি পোহাতে হয়েছিল Hero Motocorp কেই। কারণ সেসময় ইন্জিনিয়ারিং দিকের দায়ভার ছিল হোন্ডার কাছে। ফলত প্রাথমিক দিকে সমস্যায় পড়তে হয় তাদের, কিন্তু পরবর্তীতে R&D, Design Facility এবং নতুন স্ট্র্যাটেজির কারণে আজ মার্কেটের সবথেকে বড় প্লেয়ারে পরিণত হয়েছে হিরো মোটকর্প।